একাধিক হিকমত ও রহস্যকে সামনে রেখে সালাত প্রবর্তন করা হয়েছে। নিম্নে তার কিছুর প্রতি ইঙ্গিত করা হলো,
সালাত
(১) আল্লাহ তা‘আলার জন্য বান্দার দাসত্ব প্রকাশ করার লক্ষ্যে, সে তাঁর দাস, এ সালাত আদায়ের দ্বারা মানুষ ‘উবূদিয়াত’ বা দাসত্বের অনুভূতি লাভ করে এবং সে সর্বদা তাঁর সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে।
(২) এ সালাত তার প্রতিষ্ঠাকারীকে আল্লাহর সাথে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনকারী ও সর্বদা স্বরণকারী করে রাখে।
(৩) সালাত তার আদায়কারীকে নির্লজ্জ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে আর তা বান্দাকে পাপ ভুল-ত্রুটি থেকে পবিত্র করার মাধ্যম।
জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীসই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مثل الصلوات كمثل نهر جار يمر على باب أحدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات».
“পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উপমা ঐ প্রবাহমান নদীর ন্যায় যা তোমাদের কারো দরজার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে, তথায় সে প্রতি দিন পাঁচ বার গোসল করে”।
(৪) সালাত অন্তরের তৃপ্তি, আত্মার শান্তি, ও মুক্তিদানকারী ঐ বিপদ-আপদ থেকে যা তাকে কলুষিত করে। এ জন্যই তা রাসূলের নয়ন সিক্তকারী ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো কঠিন কাজের সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি সালাত আদায়ের দিকে ছুটে যেতেন। এমনকি তিনি বলতে থাকতেন,
«يا بلالأرحنا بالصلاة».
“হে বিলাল! সালাতের দ্বারা তুমি আমাকে শান্তি দাও”।
সহীহ মুসলিম। আহমদ।
Leave a Reply