সূরা আল আ’লা বাংলা উচ্চারণ, আরবি উচ্চারন বাংলায় অনেক সময় ভুল থাকে। তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, যখন বাংলায় উচ্চারন শিখবেন তখন অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে নিবেন। আর যদি কেউ আরবি দেখে পড়তে না পারেন তাহলে অবশ্যই অডিও শোনে বাংলার সাথে মিলিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
Table of Contents
অডিও
সূরা আল আ’লা বাংলা উচ্চারণ, অর্থ,
- سَبِّحِ ٱسْمَ رَبِّكَ ٱلْأَعْلَى
ছাব্বিহিছমা রাব্বিকাল আ‘লা।
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
Glorify the name of thy Guardian-Lord Most High, - ٱلَّذِى خَلَقَ فَسَوَّىٰ
আল্লাযী খালাকা ফাছওওয়া।
যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
Who hath created, and further, given order and proportion; - وَٱلَّذِى قَدَّرَ فَهَدَىٰ
ওয়াল্লাযী কাদ্দারা ফাহাদা।
এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন
Who hath ordained laws. And granted guidance; - وَٱلَّذِىٓ أَخْرَجَ ٱلْمَرْعَىٰ
ওয়াল্লাযীআখরাজাল মার‘আ।
এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
And Who bringeth out the (green and luscious) pasture, - فَجَعَلَهُۥ غُثَآءً أَحْوَىٰ
ফাজা‘আলাহূগুছাআন আহওয়া।
অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।
And then doth make it (but) swarthy stubble. - سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنسَىٰٓ
ছানুকরিউকা ফালা-তানছা।
আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
By degrees shall We teach thee to declare (the Message), so thou shalt not forget, - إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُ إِنَّهُۥ يَعْلَمُ ٱلْجَهْرَ وَمَا يَخْفَىٰ
ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্নাহূইয়া‘লামুল জাহরা ওয়ামা-ইয়াখফা।
আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়। Except as Allah wills: For He knoweth what is manifest and what is hidden.
8 وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ
ওয়া নুইয়াছছিরুকা লিল ইউছরা।
আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।
And We will make it easy for thee (to follow) the simple (Path).
- فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ ٱلذِّكْرَىٰ
ফাযাক্কির ইন নাফা‘আতিযযিকরা।
উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
Therefore give admonition in case the admonition profits (the hearer). - سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَىٰ
ছাইয়াযযাক্কারু মাইঁ ইয়াখশা।
যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,
The admonition will be received by those who fear (Allah): - وَيَتَجَنَّبُهَا ٱلْأَشْقَى
ওয়া ইয়াতাজান্নাবুহাল আশকা।
আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
But it will be avoided by those most unfortunate ones, - ٱلَّذِى يَصْلَى ٱلنَّارَ ٱلْكُبْرَىٰ
আল্লাযী ইয়াসলান্না-রাল কুবরা।
সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
Who will enter the Great Fire, - ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ
ছু ম্মা লা-ইয়ামূতুফীহা-ওয়ালা-ইয়াহইয়া।
অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
In which they will then neither die nor live. - قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ
কাদ আফলাহা মান তাঝাকা।
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়
But those will prosper who purify themselves, - وَذَكَرَ ٱسْمَ رَبِّهِۦ فَصَلَّىٰ
ওয়া যাকারাছমা রাব্বিহী ফাসাল্লা।
এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
And glorify the name of their Guardian-Lord, and (lift their hearts) in prayer. - بَلْ تُؤْثِرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا
বাল তু’ছিরূনাল হায়া-তাদ্দুনইয়া।
বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,
Nay (behold), ye prefer the life of this world; - وَٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ
ওয়াল আ-খিরাতুখাইরুওঁ ওয়া আবকা।
অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
But the Hereafter is better and more enduring. - إِنَّ هَٰذَا لَفِى ٱلصُّحُفِ ٱلْأُولَىٰ
ইন্না হা-যা-লাফিসসুহুফিল উলা।
এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;
And this is in the Books of the earliest (Revelation), - صُحُفِ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰٰ
সুহুফি ইবরা-হীমা ওয়া মূছা।
ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।
The Books of Abraham and Moses.
More……..
সূরা আসর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত
সূরা আল ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল নাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ইখলাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ
সূরা তাকাসুর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি
ফজিলত সূরা আল আ’লা
হযরত আলী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) এই সূরা “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” কে ভালবাসতেন। (আহমদ)
ব্যাখ্যা: হুজুর (সা.) সূরা আলাকে এই জন্য ভালবাসতেন যে, ঐ সূরার মধ্যে এই আয়াত রয়েছে: ” ইন্না- হাযা লাফিসসুহুফিল উলা- সুহুফি ইব্রাহীমা ওয়া মুসা-”
আয়াতের অর্থ: এই সূরার সব বিষয়বস্ত অথবা সর্বশেষ বিষয়বস্তু (অর্থাৎ পরকাল উৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী হওয়া) পূর্ববর্তী সহিফা সমূহেও লিখিত আছে।
অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও মুসা (আ.) এর সহীফা সমূহের থেকে কোরআনুল কারীমের সত্যতা প্রমাণ, এবং ইহুদি ও খৃষ্টানদের ভ্রান্ত মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সূরা আল আ’লা ইব্রাহীমী সহিফার বিষয়বস্ত: হযরত আবু জর গিফারী (রা.) রাসূল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করলেন, ইব্রাহীম (আ.) এর সহীফা কীরূপ ছিল? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এসব সহিফায় শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছিল।
তন্মধ্যে এক দৃষ্টান্তে অত্যাচারী বাদশাকে সম্বোধন করা বলা হয়েছে “হে ভুঁইফোড় গর্বিত বাদশাহ! আমি তোমাকে ধনেশ্বর স্তুপীকৃত করার জন্য রাজত্ব দান করিনি।
বরং আমি তোমাকে এই জন্য শাসন ক্ষমতা অর্পণ করেছি, যাতে তুমি উৎপীড়িত বদদোয়া আমার পর্যন্ত পৌছতে না দাও। কেননা, আমার আইন এই যে, আমি উৎপীড়িত দোয়া প্রত্যাখ্যান করি না। যদিও তা কাফেরের মুখ থেকে হয়।
অপর এক দৃষ্টান্তে সাধারণ মানুষকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে: বুদ্ধিমানের কাজ হলো নিজের সময়কে তিনভাগে বিভক্ত করা।
একভাগ তার পালনকর্তার ইবাদত ও তার সাথে মুনাজাতকে। একভাগ আত্নসমালোচনা ও আল্লাহর মহা শক্তি এবং কারিগরি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা, এবং এক ভাগ জীবিকা উপার্জনের ও স্বাভাবিক প্রয়োজনাদি মেটানো।
বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য এই যে, সে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল থাকবে, উদ্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং জিহবার হেফাজত করবে।
যে ব্যক্তি নিজের কথাকেও নিজের কর্ম বলে মনে করে, তার কথা খুবই কম হবে এবং কেবল জরুরী বিষয়ে সীমিত থাকবে।
Leave a Reply