(1)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
কুল আ’উযুবিরাব্বিন্না-ছ।
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার, Surah Nas
(2)
مَلِكِ النَّاسِ
মালিকিন্না-ছ
মানুষের অধিপতির,
(3)
إِلَـٰهِ النَّاسِ
ইলা-হিন্না-ছ।
মানুষের মা’বুদের
(4)
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
মিন শাররীল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
(5)
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
আল্লাযি ইউওয়াছ ইসু ফী সুদুরিন্নাছ-।
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে Surah Nas
(6)
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
Surah Nas mp3 download
আরো পড়ুন ,…..
WIFE CHEATING ON HUSBAND | ইসলাম কি বলে ?
এক স্ত্রী দুই স্বামী হারাম কেন ?
KALEMA | কালেমাঃ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিও সহ
BOOKS / ইসলামিক বই PDF : ISLAMIC BOOK PDF BANGLA
SEX VIDEO | পর্ণগ্রাফি দেখার ফলে গোসল ফরজ হয় কিনা
Surah Nas | সূরা নাস এর ফজিলত
১. সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিসে এসেছে — নবীজি (সাঃ) বলেন, তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি এমন আয়াত নাজিল করেছেন, যার
সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তাওরাত,ইঞ্জিল,যাবুর ও কোরআনেও সূরা নাসের অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই।
২. অন্য এক হাদিসে নবীজি (সাঃ) প্রত্যেক নামাজের পর সূরাদয় পাঠ করার আদেশ করেছেন।( আবু দাউদ )
৩. এক হাদিস হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সূরা নাস এবং সূরা ফালাক পাঠ করবে মহান রাব্বুল আলামিন তাকে সকল প্রকার বালা মুসিবত থেকে মুক্ত রাখেন। (ইবনে কাসীর )।
4. আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মিসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। – (ইবনে-কাসীর)
5. সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)- এর বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
তোমরা লক্ষ্য করেছ কি, অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ তা’আলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না। অর্থা ক্বুল আউযু বিরাব্বিল
ফালাক এবং ক্বুল আউযু বিরাব্বিল নাস আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, তওরাত, ইঞ্জীল, যাবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ অন্য কোন সূরা নেই।
6. এক সফরে রসূলুল্লাহ (সাঃ) ওকবা ইবনে আমেন (রাঃ)-কে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, অত:পর মাগরিবের নামাযে এ সূরাদ্বয়ই তেলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা শেষে বিছানা থেকে উঠার সময়ও পাঠ করো।
7. অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন। – (আবু দাউদ, নাসায়ী)
8. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কি বলব?
তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। – (মাযহারী)
সুবহানাল্লাহ, আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন সূরা আল-নাস এ অসংখ্য নেয়ামত এবং ফজিলত দিয়েছেন। আসুন সবাই ছোট এই সূরাকে গুরুত্বের সাথে আমল করি এবং শেয়ার করে অন্য ভাই বোনদেরকে তা আমল করার সুযোগ করে দেই।
Surah Nas | সূরা নাস নামকরণ
আন-নাস শব্দের অর্থ হল “মানবজাতি” সূরা আন-নাস ও সূরা আল-ফালাক সূরা দুটি ভিন্ন হলেও এদের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সূরা দুটির বিষয়বস্তু একই এবং একই ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল করা হয়েছে। আসুন ঘটনাটি জেনে নেওয়া যাক।
Surah Nas | সূরা আন নাস এর তফসির।
এ সূরায় মহা মহিমান্বিত আল্লাহর তিনটি গুণ বিবৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি হলেন পালনকর্তা, শাহানশাহ এবং মা’বুদ বা পূজনীয়। সব কিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন, সবই তার মালিকানাধীন এবং সবাই তার আনুগত্য করছে। তিনি তার প্রিয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ
হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির এবং মানুষের মা’বুদের, পশ্চাদপসরণকারীর অনিষ্ট হতে যে মানুষের অন্তরসমূহে কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা দিয়ে থাকে। চাই সে জ্বিন হোক অথবা মানুষ হোক।
অর্থাৎ যারা অন্যায় ও খারাপ কাজকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে চোখের সামনে হাজির করে পথভ্রষ্ট এবং বিভ্রান্ত করার কাজে যারা অতুলনীয়। আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই শুধু তাদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে পারে।
সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে শয়তান রয়েছে।” সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)!
আপনার সাথেও কি শয়তান রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা আমার সঙ্গেও শয়তান রয়েছে? কিন্তু আল্লাহ তাআলা ঐ শয়তানের মুকাবিলায় আমাকে সাহায্য করেছেন, কাজেই আমি নিরাপদ থাকি। সে আমাকে পুণ্য ও কল্যাণের শিক্ষা দেয়।”
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ই’তেকাফে থাকা অবস্থায় উম্মুল মু’মিনীন হযরত সফিয়া (রাঃ) তাঁর সাথে রাতের বেলায় দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে যাবার সময় রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)ও তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্যে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকেন।
পথে দু’জন আনসারীর সাথে দেখা হলো। তারা রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সাথে তাঁর স্ত্রীকে দেখে দ্রুতগতিতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁদেরকে থামালেন এবং বললেনঃ “জেনে রেখো যে, আমার সাথে যে মহিলাটি রয়েছে এটা আমার স্ত্রী সফিয়া বিনতে হুইয়াই (রাঃ)।
” তখন আনসারী দু’জন বললেনঃ “আল্লাহ্ পবিত্র। হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। এ কথা আমাদেরকে বলার প্রয়োজনই বা কি ছিল?” রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “মানুষের রক্ত। প্রবাহের স্থানে শয়তান ঘোরাফেরা করে থাকে। সুতরাং আমি আশংকা করছিলাম যে, শয়তান তোমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয় না কি।”
Surah Nas Explanation | ব্যাখ্যা:
আয়েশা (রাযিআল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখ বিছানায় আসতেন,
তখন আপন দু’হাতের তালুতে ‘কুলহু আল্লাহু আহাদ’ এবং সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে দম করতেন। তারপর উভয় কজির তালু মুখের ওপর মুছে নিতেন আর দেহের যতটুকু হাত দু’খান পৌঁছতো ততটুকুতে হাত বুলিয়ে দিতেন। আয়েশা (রাযিআল্লাহু আনহা) বলেছেন,
যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসুস্থ হতেন, তখন আমাকে অনুরূপভাবে করতে হুকুম দিতেন। ইউনুস বলেছেন, ইবনে শিহাব যখন তাঁর বিছানায় যেতেন, তখন তাঁকে অনুরূপ করতে আমি দেখতাম। (বুখারী, হাদীস নং ৭৪৮ )
Leave a Reply