জাতীয় শোক দিবস কবে
শোক দিবস পালন করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। ১৫ ই আগস্ট এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ১৫ ই আগস্ট এর সংঘটিত হওয়ার ফলে প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট শোক দিবস পালন করা হয়। এই আর্টিকেলটিতে শোক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।
Table of Contents
ভূমিকা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে আছে-সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৬টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।
সকাল ৮ টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল।
দুপুর ১২টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এই কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
Read more….
Ideal Wife | 10 Qualities of an Ideal Wife
Description of Paradise: A Glimpse into Heavenly Bliss
Hijab | Disapproval of the bride’s hijab by the proposer
7 types of food for hell ! and details
How will the first night of the grave be after death?
বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
একইভাবে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া, ১৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
মূলত, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারী ইতিহাস রচিত হতে থাকে।
জাতীয় শোক দিবস কবে
আপনি যদি উপরের লিখিত তথ্যগুলো পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, জাতীয় শোক দিবস কবে? কেননা, পূর্বেই বলা হয়েছে, প্রতিবছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে এমন ভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাই সেই দিনটিকেই জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস কবে আশা করি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই উপরে, শোক দিবস ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সহিত পড়তে থাকুন নিচে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত
সকাল ৯:৩০টায় কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালী, শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বৃক্ষরোপণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ইত্যাদি। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি শোক র্যালী বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, হল প্রভোস্টের নেতৃত্বে বিভিন্ন হলের ছাত্র-ছাত্রী, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ভাইস-চ্যান্সেলর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী।
তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়া পত্তন করেন। একটা জাতির মুক্তি ও একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন
শোকের মাস শুরু
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করেন একদল বিপথগামী সেনাসদস্য।
১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সঙ্গে শোক দিবস সামনে রেখে আগস্টের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী কর্মসূচি। গতকাল সোমবার দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
শোকের মাসের শুরুতে ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করার কথা রয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের।
আজ সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে কৃষক লীগের আয়োজনে রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।
উপসংহার
আপনি যদি প্রথম থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। ১৫ ই আগস্টে সংঘটিত বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম জঘন্যতম এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। যারা এই ঘটনাটি ঘটেছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা। নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেওয়া।
তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান শত্রু ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর এ কারণেই তারা সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিস্তব্ধ করতে চেয়েছে কখনো বা কারাগারে বন্দী করে আর কখনো হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে।
তবে প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা থাকায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে পাকিস্তান সরকার বেশিদিন কারাগারে আবদ্ধ করে রাখতে পারেনি। বরাবরই, কোন আন্দোলনের মুখে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে।
আরো পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস কবে? – জাতীয় শোক দিবস কত তারিখ?
তবে পাকিস্তানি সরকার বরাবরই চেয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার জন্য। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে তারা তা করতে সফল হয়নি।
তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাকিস্তান সরকার তাদের দোসরদের মাধ্যমে তাদের মনের সুপ্ত বাসনা পূরণ করেছে। শোক দিবস ২০২৩ , জাতীয় শোক দিবস কবে এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে আশা করি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। ১৬৪১৩
Tag
জাতীয় শোক দিবস ২০২3,
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য,
জাতীয় শোক দিবস পালন,
জাতীয় শোক দিবস কবে,
জাতীয় শোক দিবস রচনা pdf,
জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ,
জাতীয় শোক দিবস ২০২৩,
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২3,
Leave a Reply