বৃষ্টিপাত কমার আভাস
পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (১৬ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ কথা জানায়।মৌসুমী বায়ুর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়।
Table of Contents
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
More…
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জীবনী
আগস্ট মাসের আজান ও নামাজের সময়সূচি
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/ভাষণ | ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে
জাতীয় শোক দিবস কি | শোকের মাস শুরু কবে | আজ জাতীয় শোক দিবস
রিজিক সম্পর্কে হাদিস | রিজিক কী | রিজিক কত প্রকার
বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত কেন হয়?
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। প্রত্যেকটি ঋতু তার নিজস্ব সত্ত্বা নিয়ে আসে। বিভিন্ন ঋতুর এরুপ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা ওই ঋতুর বিশেষত্ব বহন করে।
যেমন বর্ষাকালের কথা বললে অধিক বৃষ্টিপাতের কথা চলে আসে। মূলত অধিক বৃষ্টিপাতের কারনেই আষাঢ়-শ্রাবণ এই দু মাসকে বলা হয় বর্ষাকাল।তবে শুধু যে বর্ষাতেই অধিক বৃষ্টিপাত হয় তা কিন্তু নয়। গ্রীষ্মকাল থেকেই ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু বছরের অন্যান্য সময় বা ঋতুতে এমন দেখা যায় না।
তাহলে কেন এমন ঘটে? অন্যান্য ঋতুর তুলনায় গ্রীষ্ম এবং বর্ষাতেই কেন এত বেশি বৃষ্টি হয়? চলুন দেখে নেওয়া যাক এর কারন।গ্রীষ্মকাল আসলে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এর কারন হল সূর্যের অবস্থান।
এসময় সূর্য উত্তর গোলার্ধ্যে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর খারাভাবে কিরণ দেয় । ফলে তাপ বায়ুমন্ডলে বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বরঞ্চ এ অঞ্চলে অধিক তাপ আপতিত হওয়ার কারনে বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা অধিক হওয়ার কারনে বাতাসের ঘনত্ব কমতে থাকে। দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গপসাগরে তখন বায়ুচাপ বেশি এবং কম গরম থাকে। এই কম বেশি বায়ু চাপের কারণে একটা ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে।
অর্থ্যাৎ, বায়ু দক্ষিণে বঙ্গপসাগরের অধিক ঘনত্বের অঞ্চল থেকে কম ঘনত্বের দিক উত্তর দিকে ছুটে আসে। যেহেতু এ বাতাস সমুদ্র অঞ্চল থেকে আসে, তাই প্রবাহিত হওয়ার সময় সাথে নিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প।
এবার এই জলীয়বাস্প কর্কটক্রান্তিয় নিম্ন ঘনত্বের বায়ুমন্ডলে এসে জমতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এক সময় বৃষ্টি হিসেবে মাটিতে নেমে আসে।
বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণ কী?
বৃষ্টিপাতের জন্য প্রথমেই দরকার পড়ে জলীয় বাষ্প। যা সূর্যের তাপে নদী ও সমুদ্র থেকে উষ্ণ হয়ে বায়ুমণ্ডলের সাথে মিশে ধীরে ধীরে উপরে ওঠে আসে এবং উষ্ণতর হতে থাকে ও সেই সাথে হালকা হতে থাকে।
সেই জলীয় বাষ্প হালকা হওয়ার কারণে উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণা, বালুর কণা ইত্যাদির সহায়তায় জমাটবদ্ধ হয়ে তৈরি করে মেঘ। এভাবে মেঘের আকৃতি বড় হতে হতে যখন ভারি হয়ে যায়, তখন হয় বৃষ্টি।
Tags
বৃষ্টি না হওয়ার কারণ,
মেঘ থেকে কিভাবে বৃষ্টি হয়,
বৃষ্টি কত প্রকার,
বৃষ্টিপ কাকে বলে,
বৃষ্টি নিয়ে ক্যাপশন,
বাংলাদেশে কেন বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়,
বৃষ্টি দিয়ে রচনা,
বৃষ্টি অর্থ english,
Leave a Reply